শব্দ : কয়েকটি বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি একত্র হয়ে যদি একটি অর্থ প্রকাশ করে, তবে তাকে বলা হয় শব্দ।
যেমন- ন্ + অ + + অ = নর। স্ + অ + ত্ + আ = লতা।
কিন্তু বর্ণসমষ্টি যদি কোন অর্থ প্রকাশ না করে, তাহলে শব্দ হয় না। যেমন- ক্ + + + অ = কেত।
এখানে কতগুলো বর্ণ একত্র হলেও এগুলো মিলিতভাবে কোন অর্থ প্রকাশ না করায় শব্দ হয়নি।
পদ : বিভক্তিযুক্ত শব্দকে পদ বলা হয়। যেমন- নর + ঔ = নরৌ। এখানে 'নর' একটি শব্দ। এর সঙ্গে 'ঔ'
এই শব্দবিভক্তি যুক্ত হয়ে 'নরৌ' পদ গঠিত হয়েছে।
পদের শ্রেণীবিভাগ : পদ পাঁচ প্রকার বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় ও ক্রিয়া।
১। বিশেষ্য
যে পদের দ্বারা কোন ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, গুণ, অবস্থা, ক্রিয়া প্রভৃতির নাম বোঝায়, তাকে বলা হয় বিশেষ্য।
যেমন-
ব্যক্তি: গোপালঃ, গোবিন্দঃ, সীতা ইত্যাদি।
বস্তু: বিত্তম, জলম্, অনুম ইত্যাদি।
স্থান: মথুরা, কাশী, গয়া, বৃন্দাবনম্ ইত্যাদি।
গুণ: মধুরতা, চপলতা, মহত্ত্বম ইত্যাদি।
অবস্থা: কৈশোরম্, যৌবনম্, দারিদ্র্যম্ ইত্যাদি।
ক্রিয়া: শয়নম্, দর্শনম্ ইত্যাদি।
২। বিশেষণ
যে পদ বিশেষ্য বা ক্রিয়াপদের গুণ, অবস্থা, পরিমাণ প্রভৃতি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ বলে। বিশেষণ
প্রধানত দুই প্রকার নামবিশেষণ ও ক্রিয়াবিশেষণ।
নামবিশেষণ : যে পদ বিশেষ্য পদের গুণ, অবস্থা প্রভৃতি প্রকাশ করে, তাকে নামবিশেষণ বলে। যেমন-
ক্লান্তঃ পথিকঃ। গভীরা রজনী। পঞ্চম্ ফলম্।
ক্রিয়াবিশেষণ যে পদ ক্রিয়াপদের অবস্থা প্রকাশ করে, তাকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। ক্রিয়াবিশেষণে দ্বিতীয়া
বিভক্তির একবচন ও ক্লীবলিঙ্গ হয়। যেমন- কোকিলঃ মধুরম্ কৃজতি। বালিকা ধীরম্ গচ্ছতি।
৩। সর্বনাম
যে পদ বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে। যেমন- রামঃ সুশীলঃ বালকঃ, রামঃ
প্রতিদিনম্ বিদ্যালয়ম্ গচ্ছতি, রামস্য চরিত্রম নির্মলম্-এই তিনটি বাক্যে বারবার 'রাম' পদের ব্যবহারে
শ্রুতিকটু দোষ হয়। এজন্য 'রামঃ' পদের পরিবর্তে যদি সঃ (সে) এবং রামস্য (রামের) পদের পরিবর্তে 'তস্য'
(তার) পদ ব্যবহার করা হয়, তাহলে বাক্যগুলো শ্রুতিমধুর হয়। সুতরাং শ্রুতিকটু দোষ পরিত্যাগের জন্য
বিশেষ্যের পরিবর্তে অন্য পদ প্রয়োগ করা প্রয়োজন। বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত এই পদগুলোই সর্বনাম।
কয়েকটি সর্বনাম পদ : তে (তারা), তুম্ (তুমি), যঃ (যে), কঃ (কে), কিম্ (কি), অয়ম্ (এই) ইত্যাদি।
৪। অব্যয়
অব্যয় শব্দের অর্থ 'যার ব্যয় নেই। বায় শব্দের অর্থ পরিবর্তন। সুতরাং যে পদের কখনো কোন পরিবর্তন হয়।
না, অর্থাৎ যা সব সময় একই রূপে থাকে, তাকে অব্যয় বলা হয়। যেমন- অধুনা অহং গমিষ্যামি আমি এখন
যাব। তস্যাঃ মুখং পদ্মম্ ইব তার মুখ পদ্মের মত। এখানে 'অধুনা' এবং 'ইব' অব্যয় পদ।
আরো কয়েকটি অব্যয় পদের উদারহণ :
কদা (কখন), কুত্র (কোথায়), অতীব (অভ্যন্ত), চ (এবং), ততঃ (তারপর), তদা (তখন) ইত্যাদি।
৫। ক্রিয়া
যা দ্বারা কোন কাজ করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে। যেমন- সত্যং বদ-সত্য বল। ধর্ম চর-ধর্ম আচরণ
কর। বালকঃ পঠতি-বালকটি পড়ে। বালিকা চন্দ্রম্ পশ্যতি বালিকা চাঁদ দেখে।
অনুশীলনী
اد
শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।
পদ কাকে বলে? পদ কত প্রকার ও কি কি?
10
বিশেষ্য পদ কাকে বলে? পাঁচটি বিশেষ্য পদের উদারহণ দাও ।
81
নামবিশেষণ ও ক্রিয়াবিশেষণের পার্থক্য উদাহরণসহ লেখ।
সর্বনাম পদ কাকে বলে? কয়েকটি সর্বনাম পদের উদাহরণ দাও।
অব্যয় কাকে বলে? দুটি অব্যয় পদের বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(ক) বিভক্তিযুক্ত শব্দকে কি বলে?
‘মধুরতা' কোন পদ?
(গ) ক্রিয়াবিশেষণে কোন লিঙ্গ হয়?
সর্বনাম পদ কোন পদের পরিবর্তে বসে?
(ঙ) 'অব্যয়' শব্দের অর্থ কি?
৮।
সঠিক উত্তরটি লেখ :
(ক)
বিভক্তিযুক্ত শব্দকে বলে
(1) কারক
(iii)
পদ
(ii)
সন্ধি
(iv)
প্রত্যয়।
(খ)
'কদা' একটি-
বিশেষ্য পদ
(iii) সর্বনাম পদ
(ii)
অব্যয় পদ
(iv) বিশেষণ পদ।
(গ)
শয়নম্ একটি-
(1)
ক্রিয়া পদ
(ii)
বিশেষ্য পদ
(iii)
অব্যয় পদ
(iv)
বিশেষণ পদ।
(খ)
'পঞ্চম' একটি-
(1)
বিশেষণ পদ
(iii) ক্রিয়া পদ
(ii)
বিশেষ্য পদ
(iv) সর্বনাম পদ ।
'পশ্যতি' একটি
(1)
বিশেষ্য পদ
(iii)
সর্বনাম পদ
(ii)
বিশেষণ পদ
(iv)
ক্রিয়া পদ
২। পতি (প্রভু, স্বামী)
বিভক্তি
একবচন
বিচন
বহুবচন
১ মা
পতিঃ
পতী
পতয়ঃ
ইয়া
পতিম
পতী
পতী
ওয়া
পত্যা
পতিভ্যাম্
পতিভিঃ
পত্যে
পতিভ্যাম্
পতিভ্যঃ
পত্যুঃ
পতিভ্যাম্
পতিভ্যঃ
পত্যুঃ
পড়্যোঃ
পতীনাম্
পত্যৌ
পত্যোঃ
পতি
সম্বোধন
পড়ে
পতী
পতয়ঃ
দ্রষ্টব্য : পূর্বস্থিত অপর কোন শব্দের সঙ্গে সমাস হলে 'পতি' শব্দের রূপ 'মুনি' শব্দের মত হয়। যেমন-
শ্রীপতি, ভূপতি, নরপতি, মহীপতি, শচীপতি, লক্ষ্মীপতি, নৃপতি, ক্ষিতিপতি ইত্যাদি।
৩। সুধী (জ্ঞানী)
বিভক্তি
একবচন
বহুবচন
১ মা
সুধীঃ
সুধিয়ৌ
সুধিয়ঃ
সুধিয়
সুধিয়ৌ
সুপ্রিয়ঃ
ওয়া
সুপ্রিয়া
সুধীভ্যাম
সুখীভিঃ
সুধিয়ে
সুধীভ্যাম্
সুধীতাঃ
সুধিয়ঃ
সুখীভ্যাম
সুধীতাঃ
সুধিয়ঃ
সুধিয়োঃ
সুধিয়াম্
সুধিয়ি
সুধিয়োঃ
সুধীষু
সম্বোধন
সুধীঃ
সুধিয়ৌ
সুধিয়ঃ
দ্রষ্টব্য : মন্দধী, অল্পধী, সুশ্রী, গতড়ী (নির্ভীক ) প্রভৃতি ঈ-কারান্ত পুংলিঙ্গ শব্দের রূপ 'সুধী' শব্দের মত।
'সুধী' শব্দ এবং 'সুধী' শব্দের মত যেসব শব্দের রূপ হয়, তাদের যেখানে যা থাকবে সেখানেই জন্ম ই-কার
হবে, কিন্তু 'য়' না থাকলে দীর্ঘ ঈ-কার হবে।
নিম্ন মাধ্যমিক সংস্কৃত
৪। দাতৃ (দাতা)
বিভক্তি
একবচন
বিচন
বহুবচন
১ মা
দাতা
পাতারৌ
দাতারঃ
২য়া
দাতারম্
দাতারৌ
ওয়া
দাত্ৰা
দাতৃভ্যাম্
দাতৃভিঃ
পাত্রে
সাতৃভ্যাম্
দাতৃভ্যঃ
দাতৃভ্যাম্
দাতৃভাঃ
পাতুঃ
দাতরি
পাত্রোঃ
দা
সম্বোধন
দাতঃ
পাতারৌ
দাতারঃ
স্রষ্টব্য : জেতু (জয়কারী), কর্তৃ (কর্তা), শ্রোতৃ (শ্রোতা), হত্ত্ব (ঘাতক), ভর্ত (স্বামী), নেতৃ (নেতা), বিধাত্
(বিধাতা) প্রভৃতি অ-কারান্ত পুংলিঙ্গা শব্দের রূপ 'দাতৃ' শব্দের মত। তবে ভ্রাতৃ, জামাতৃ ও নৃ (মানুষ)—এই
কয়টি ঋ-কারান্ত শব্দের রূপে কিছু পার্থক্য আছে।
৫। ভ্রাতৃ (ভাই)
বিভ
একবচন
বহুবচন
১মা
ভাতা
স্রাতরৌ
ভ্রাতরঃ
ভ্রাতরম
স্রাতরৌ
ভ্রাতৃম
ওয়া
ভ্ৰাতৃভ্যাম্
ভ্রাতৃভিঃ
ভ্ৰাতৃভ্যাম্
ভ্রাতৃত্যঃ
ভ্রাতুঃ
ভ্ৰাতৃভ্যাম্
ভ্রাতৃত্যঃ
৬
ভ্রাতুঃ
ভালোঃ
ভ্ৰাতৃগাম
জাতরি
ভ্রাতৃ
সম্বোধন
ভ্রাতঃ
ভ্রাতরৌ
জাতরঃ
দ্রষ্টব্য : পিতৃ, জামাতৃ (জামাতা), দেবু (দেবর) প্রভৃতি শব্দের রূপ 'ভ্রাতৃ' শব্দের মত।
৬। গো (গরুজাতি
বিভক্তি
পাবো
বহুবচন
গোভ্যাম
গোভির
8
গোভ্যাম্
গবে
গোতাঃ
গবোঃ
গবোঃ
গবা
গোধু
সম্বোধন
দ্রষ্টব্য : 'গো' শব্দ 'গোজাতি' অর্থে পুংলিঙ্গ, কিন্তু 'গাজী' অর্থে গ্রীলিঙ্গ।।
ক্লীবলিঙ্গ শব্দ
১। বারি (জল)
বিভক্তি
বহুবচন
বারি
বারিণী
ान
বারি
বারিণী
বারীণি
ওয়া
বারিণা
বারিণে
বারিভ্যাম্
বারিক্যাম্
বারিতিঃ
বারিতাঃ
বারিণঃ
বারিভ্যাম্
বারিতাঃ
বারিণঃ
বারিলোঃ
বারীনাম
বারিণি
বারিলোঃ
বারি
সম্মোধন
বারে, বারি
বারিণী
ৰাৱীপি
দ্রষ্টব্য: দধি, অস্থি (হাড়), সথি (উরু) ও অক্ষি (চোখ) ভিন্ন সকল হ্রস্ব ই-কারান্ত ক্লীবলিঙ্গ শব্দের রূপ
“বারি' শব্দের মত।
সংস্কৃত
২। মধু (মিষ্ট তরলদ্রব্য বিশেষ
বিচন
বহুবচন
মধুনী
মধুমি
২য়া
মধুনী
মধুনি
মধু
মধুভিঃ
ওয়া
মথুনে
মধুভ্যাম্
মধুতাঃ
मधूम
মধুনোঃ
মধুজাঃ
সম্বোধন
মধ্যে, মধু
মধুনি
দ্রষ্টব্য : অম্বু (জল), অশ্রু (চোখের জল), জানু (হাঁটু), দারু (কাঠ), বস্তু, শুশু (দাড়ি) প্রভৃতি হ্রম উ-কারান্ত
ক্লীবলিঙ্গ শব্দের রূপ 'মধু' শব্দের মত।
৩। জল (বারি)
একবচন
বহুবচন
नम
ভালে
জলম
জলে
ওয়া
জলাভ্যাম্
জলাভ্যাম্
জালেন
জলায়
জনেভা
৫মী
জলাভ্যাম
জালানাম্
সম্বোধন
জলয়োঃ
স্রষ্টব্য : ফল, বন, কানন, তুল, পুষ্প, মূল, পত্র, মিত্র, সুখ, দুঃখ, পাপ, পুণ্য, নক্ষত্র, মুখ, নয়ন, নগর,
শরীর, যুদ্ধ, ক্ষেত্র প্রভৃতি অ-কারান্ত ক্লীবলিঙ্গ শব্দের রূপ 'জল' শব্দের মত।
সর্বনাম শব্দ
১। অম্মদ (আমি)
বিচন
বিভক্তি
একবচন
বহুবচন
অহম্
আৰাম্
আরাম, নৌ
অসমান, নঃ
তয়া
আৰাভ্যাম্
অমাভিঃ
মহাম, মে
আৰাভ্যাম্, নৌ
অলভাম, নঃ
কর্মী
আৰাভ্যাম্
অত্
মম, মে
আবয়োঃ, নৌ
অস্মাকম্, ন
অমাসু
আবয়োঃ
দ্রষ্টব্য: অমদ শব্দের রূপ তিন লিঙ্গেই সমান।
২। যুম্মদ (তুমি)
বিভক্তি
একবচন
বহুবচন
১ মা
যুবাম্
২য়া
যুবাম, বাম্
যুগ্মান, বঃ
যুগ্মাভিঃ
ওয়া
য়া
খুব ভ্যাম্
তুভাম, তে
যুবাড্যাম, বাম্
যুগ্মভাম, ব
যুবাভ্যাম্
যুদ্ধাকম, বা
তব, তে
যুবয়োঃ, ৰাম
খুবয়োঃ
৩। তদ্ (সে, তিনি, তা)
পুংলিঙ্গ
একবচন
দ্বিবচন
বিভক্তি
বহুবচন
সঃ
তে
爸爸
ত
তান
তৈঃ
ওয়া
তেন
তাভ্যাম্
তমৈ
ভাভ্যাম্
তমাৎ
তাভ্যাম্
তেভ্যঃ
ভয়োঃ
তেষাম্
তেষু
প্রশ্নমালা
১। সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :
(ক) 'পিতৃ' শব্দের রূপ পাত্/ভ্রাতৃ মাতৃ/কর্তৃ শব্দের মত ।
'অম্বু' শব্দের রূপ সাধু/বিষ্ণু/রিপু/মধু/শব্দের মত ।
(গ) 'বারি' শব্দের ষষ্ঠীর বহুবচনের রূপ বারীনাম/বারিণাম / বারিণি/বারিণঃ ।
'জল' শব্দের সপ্তমীর দ্বিচনের রূপ জলস্য / জলয়োঃ /জলানাম/জলেষু ।
(ঙ) পুংলিঙ্গ 'তদ' শব্দের সপ্তমীর একবচনের রূপ তথ্য/তশ্য/তস্য/ তদ্দিন ।
২।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(ক) শব্দরূপ কাকে বলে?
(খ) 'জেতৃ' শব্দের রূপ কোন্ শব্দের মত?
(গ) 'নৃ' শব্দের অর্থ কি?
গাভী অর্থে 'গো' শব্দ কোন লিঙ্গ?
'শত্রু' শব্দের রূপ কোন শব্দের মত?
'পত্র' শব্দের রূপ কোন শব্দের মত?
(ছ) 'কিম' শব্দ কোন্ শব্দের মত?
(জ) 'কিম্' শব্দ কোন লিঙ্গে প্রযুক্ত হয়?
(ঝ) 'ত্রি' শব্দ কোন্ কোন্ লিঙ্গে প্রযুক্ত হয়?
৩। বাংলায় অনুবাদ কর
(ক) নরপতেঃ। (খ) মধুনা। (গ) জলাৎ। (ঘ) ময়া। (ঙ) দাতারৌ। (চ) পত্যা। (ছ) বয়ম্ ।
(জ) ত্বাম্।
৪। সংস্কৃতে অনুবাদ কর :
(ক) প্রিয় বন্ধু। (খ) আমাদের। (গ) তোমাদের। (ঘ) গরুর দ্বারা। (ঙ) মুনিদের। (চ) ভাইদের
দ্বারা । (ছ) কাদের। (জ) তাদের। (ঝ) চারজন।
৫। নির্দেশ অনুযায়ী নিচের শব্দগুলির রূপ লেখ :
(ক) প্রিয়সখ' শব্দের তৃতীয়ার একবচন ।
(খ) 'পতি' শব্দের প্রথমার বহুবচন ।
(গ) 'শ্রীপত্তি' শব্দের ঘড়ীর একবচন ।
(ঘ) 'সুধী' শব্দের সপ্তমীর বহুবচন।
(ঙ) শুধু শব্দের প্রথমার বহুবচন ।
(চ) 'ভ্রাতৃ' শব্দের ষষ্ঠীর একবচন ।
(ছ) 'বারি' শব্দের দ্বিতীয়ার বহুবচন ।
(জ) 'জল' শব্দের প্রথমার বহুবচন।
(ঝ) 'তদ' শব্দের ক্লীবলিঙ্গে প্রথমার বহুবচন ।
(ঞ) 'তদ' শব্দের পুংলিঙ্গে প্রথমার বহুবচন ।
(ট) 'এক' শব্দের পুংলিঙ্গে চতুর্থীর একবচন
(ঠ) 'দ্বি' শব্দের পুংলিঙ্গে সপ্তমীর দ্বিচন ।
।
(ড) চুতুর' শব্দের স্ত্রীলিঙ্গে তৃতীয়ার বহুবচন ।
১। কিছু শব্দের পুংলিঙ্গের রূপ লেখ।
৭। মুখ শব্দের রূপ দেখ
৮। 'অমদ” শব্দের পূর্ণ রূপ লেখ।
পঞ্চমী থেকে সপ্তমী বিভক্তি পর্যন্ত 'মধু' শব্দের রূপ লেখ ।
১০। পঞ্চমী থেকে সপ্তমী বিভক্তি পর্যন্ত সুধী শব্দের রূপ
১১। প্রথমা থেকে চতুর্থী পর্যন্ত 'গো' শব্দের রূপ লেখ।
১২। সকল বিভক্তি ও বচনে 'মাতৃ' শব্দের রূপ লেখ।
দেখ
ধাতুরূপঃ
কর্তৃবাচ্যে সংস্কৃত ধাতুগুলো তিন প্রকার পরস্মৈপদী, আত্মনেপর্দী ও উভয়পদী।
বর্তমান কাল বোঝাতে লই, অতীত কাল বোঝাতে লঙ্, ভবিষ্যৎ কাল বোঝাতে লুট, বর্তমান অনুজ্ঞা বোঝাতে
লোট এবং ঔচিত্য অর্থে বিধিলিত-এর প্রয়োগ হয়।
ধাতুর সঙ্গে বিভিন্ন তি বিভক্তি যুক্ত হয়ে ধাতুরূপ গঠিত হয়।
নিম্নে ভিড় বিভক্তির আকৃতি প্রদর্শিত হল :
পরস্মৈপদ
লট্
ৰচন
প্রথমপুরুষ
মধ্যমপুরুষ
উত্তমপুরুষ
একবচন
সি
মি
দ্বিবচন
ভস্
বহুবচন
লোট
ৰচন
প্রথমপুরুষ
মধ্যমপুরুষ
উত্তমপুরুষ
একবচন
হি
আনি
আব
আম
দ্বিবচন
তম
বহুবচন
চন
প্রথমপুরুষ
মধ্যমপুরুষ
একবচন
(5)
স্ (3)
দ্বিবচন
তাম
তম
বহুবচন
ব
উত্তমপুরুষ
বিধিলিঙ্
ৰচন
প্রথমপুরুষ
মধ্যমপুরুষ
উত্তমপুরুষ
একবচন
দ্বিবচন
যাতাম্
যাতম্
যাব
বহুবচন
यू
যাত
যাম
চন
প্রথমপুরুষ
মধ্যমপুরুষ
উত্তমপুরুষ
একবচন
স্যতি
স্যামি
দ্বিবচন
স্যাতস্
সাথস্
স্যারস
বহুবচন
সান্তি
সাথ
স্যামস্
আত্মনেপদ
লট
ৰচন
প্রথমপুরুষ
মধ্যমপুরুষ
উত্তমপুরুষ
একবচন
12.
সে
দ্বিবচন
আতে
আধে
বহে
বহুবচন
ে
মহে
লোট
ৰচন
প্রথমপুরুষ
মধ্যমপুরুষ
উত্তমপুরুষ
একবচন
Gr
দ্বিবচন
আতাম্
আবহৈ
বহুবচন
অস্তাম্
আমহৈ
অনুশীলনী
শুদ্ধ উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :
(ক) পরমপদে লোট্-এ মধ্যম পুরুষের একবচনে ভিক্ বিভক্তির আকৃতি- ভূ/অন/হি/ত।
(খ) পরমপদে লড়-এ প্রথম পুরুষের একবচনে তিন্তু বিভক্তির রূপ- স্/দ/হি/ আনি।
(গ) আত্মনেপদে লোট্-এ উত্তমপুরুষের বহুবচনে ভিড় বিভক্তির রূপ- আমহৈ / আবহৈ বহৈ মহৈ।
(ঘ) বৃৎ-ধাতুর লটু-এ উত্তমপুরুষের একবচনের রূপ- বর্তামহে/বৰ্ত্তাবহে/বর্তৈ/বর্তে।
(ঙ) জন ধাতুর লড়-এ প্রথম পুরুষের একবচনের রূপ- অজায়ত / অজায়তে/ অগাষ/অজায়তাম্।
বাক্য রচনা কর :
পৃচ্ছামি, কুর্বঃ, অপশাৎ, পশ্যামি, শেতে।
৩। সংস্কৃতে অনুবাদ কর :
(ক) আমি জিজ্ঞেস করব। (খ) আমরা চাঁদ দেখছি। (গ) গরুটি জলপান করেছিল। (ঘ) মাধবী
লিখবে। (ঙ)
পাখি ডাকে।
বাংলায় অনুবাদ কর
(ক) বিশ্রামং কুরু। (খ) কমলা নদীম্ অপশাৎ। (গ) তে জলং পাস্যস্তি। (ঘ) পত্রং পততি। (ঙ) সূর্যঃ
দীপাতে।
৫।
নির্দেশ অনুযায়ী ধাতুরুপ লেখ :
(ক) লট বিভক্তিতে পা-ধাতুর উত্তমপুরুষের বহুবচনের রূপ।
(খ) লঙ্-বিভক্তিতে মধ্যমপুরুষের একবচনে প্রচ্ছ ধাতুর রূপ।
(গ) বিধিলি-বিভক্তিতে মধ্যমপুরুষের বহুবচনে দৃশ-ধাতুর রূপ।
(ঘ) লঙ্-বিভক্তিতে হস-ধাতুর মধ্যমপুরুষের একবচনের রূপ।
(ঙ) লট-বিভক্তিতে রম্ ধাতুর প্রথম পুরুষের বহুবচনের রূপ।
(চ) বিধিলিয়-বিভক্তিতে খাদৃ-ধাতুর উত্তমপুরুষের একবচনের রূপ।
(ছ) দৃঢ়-বিভক্তিতে বৃৎ-ধাতুর আত্মপেদে মধ্যমপুরুষের একবচনের রূপ।
(জ) লট-বিভক্তিতে যুধ-ধাতুর প্রথম পুরুষের বহুবচনের রূপ।
81
৬। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(ক) কিভাবে ধাতুরূপ গঠিত হয়?
(খ) আত্মনেপদে লড়-এ মধ্যমপুরুষের একবচনে কৃ-ধাতুর রূপ কি?
(গ) দৃশ-খানে কোথায় কোথায় 'পশ্য' হয়?
(ঘ) পা-ধাতুর কোন কোন ক্ষেত্রে 'পিব' হয়?
(ঙ) চর-ধাতুর রূপ কোন ধাতুর মত?
(চ) বৃৎ-ধাতু কোন্ পদী।
(ছ) যুধ-ধাতুর রূপ কোন্ ধাতুর মত?
(জ) ল-এ জন-ধাতুর প্রথমপুরুষের একবচনের রূপ কি?
৭। লট-এ শী-ধাতুর রূপ লেখ ।
৮। লুট পরপদে বৃৎ-ধাতুর রূপ লেখ।
লট-এ কূজ-ধাতুর রূপ লেখ ।
১০। লো-এ হস্-ধাতুর রূপ লেখ ।
১১। বিধলি-এ পা ধাতুর রূপ লেখ।
১২। লূট-এ দৃশ-ধাতুর রূপ লেখ।
১৩। লঙ্ পরস্মৈপদে কু-ধাতুর রূপ লেখ।
১৪। ল-এ সকল পুরুষ ও বচনে ও প্রচ্ছ-ধাতুর রূপ লেখ ।
(১) কারক
অহং পঠামি (আমি পড়ি)। কৃষ্ণা রামায়ণং পঠতি (কৃষ্ণা রামায়ণ পড়ছে)।
প্রথম উদাহরণে 'পঠামি' ক্রিয়াটি সম্পন্ন করছে 'অহং' (পদ) শব্দটি। সুতরাং 'পঠামি' ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'অহং
(অহম্)' পদের সম্বন্ধ আছে। দ্বিতীয় উদাহরণে 'পঠতি ক্রিয়ার সম্পাদিকা কৃষ্ণা। আবার 'রামায়ণং
(রামায়ণম্)' পদটি 'পঠতি' ক্রিয়াপদের অবলম্বন। সুতরাং দেখা যায় পঠতি ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কৃষ্ণা' এবং
'রামায়ণ' পদের সম্বন্ধ আছে। এরূপভাবে
ক্রিয়ার সাথে বাক্যের অন্যান্য যে-সব পদের অন্বয় বা সম্বন্ধ আছে তাকে কারক বলে।
এজন্য বলা হয়, “ক্রিয়ানুরি কারকম্।
কারক ছয় প্রকার- কর্তৃ, কর্ম, করণ, সম্প্রদান, অপাদান ও অধিকরণ।
(ক) কর্তৃকারক
যে কোন কার্য সম্পাদন করে, তাকে কর্তৃকারক বলে। যেমন- মহেশঃ পঠতি (মহেশ পড়ছে)। বৃষ্টিঃ ভবতি
(বৃষ্টি হচ্ছে)।
কর্মকারক
যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে বলা হয় কর্মকারক। সাধারণত ক্রিয়াপদকে 'কি' বা 'কাকে'
দিয়ে প্রশ্ন করে যে-উত্তর পাওয়া যায়, তাকে কর্মকারক বলা হয়। যেমন-
গোপালঃ চন্দ্ৰং পশ্যতি (গোপাল চাঁদ দেখছে)।
পুত্রঃ মাতারম্ অপশাৎ (পুত্র মাতাকে দেখেছিল)।
(গ) করণকারক
কর্তা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে করণকারক বলা হয়। যেমন-
রজেন সঞ্চরতে রাজা (রাজা রথে বিচরণ করছেন)।
বালিকা হস্তেন গৃহাতি (বালিকাটি হাত দ্বারা গ্রহণ করছে)।
(ঘ) সম্প্রদান কারক
যাকে যত্ন অর্থাৎ অধিকার ত্যাগ করে কোন কিছু দান করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যেমন- নিরন্নায়
অনুং দেহি (অন্নহীনকে অম্ল দাও)।
জন্মজনায় আলোকং দেহি (অন্ধজনকে আলো দাও
(ঙ) অপাদান কারক
একটি বস্তু থেকে অন্য একটি বস্তু পৃথক হওয়ার পর যে বস্তুটি স্থির থাকে, তাকে অপাদান কারক বলা
হয়। যেমন— বৃক্ষাৎ পত্রাণি পতন্তি (গাছ থেকে পাতা পড়ছে)। স প্রামাৎ আয়াতি (সে গ্রাম থেকে আসছে)।
প্রথম উদাহরণে বৃক্ষ থেকে পাতাগুলো পড়ছে, কিন্তু বৃক্ষ স্থির হয়ে আছে। দ্বিতীয় উদাহরণে সে গ্রাম থেকে
সরে এসেছে, কিন্তু গ্রাম স্থির হয়ে আছে। সুতরাং 'বৃক্ষ' ও 'গ্রাম' অপাদান কারক।
(চ) অধিকরণ কারক
যে-সময়ে, যে-স্থানে বা যে-বিষয়ে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে অধিকরণ কারক বলে। যেমন-
সময় – বর্ষাসু বৃষ্টিঃ ভবতি (বর্ষায় বৃষ্টি হয়)।
বসন্তে কোকিলঃ কৃজতি (বসন্তে কোকিল ডাকে)।
স্থান- বনে বাঘ্রোঃ নিবসস্তি (বনে বাঘ বাস করে)।
আকাশে চন্দ্রঃ উদেতি (আকাশে চাঁদ উঠছে)।
বিষয়- - স ব্যাকরণে পণ্ডিতঃ (তিনি ব্যাকরণে পণ্ডিত)।
সঙ্গীতে নিপুণা লীলা (লীলা সঙ্গীতে নিপুণ)।
বিভক্তি (শব্দবিভক্তি)
শব্দবিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদ গঠন করে। শব্দবিভক্তি সাত প্রকার-
প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী।
(ক) প্রথমা বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ
যা ধাতু নয়, প্রত্যয়ও নয়, অথচ যার অর্থ আছে, তাকে প্রাতিপদিক বলে। প্রাতিপদিক অর্থে প্রথমা
বিভক্তি হয়। যেমন- বৃক্ষঃ, জলমু, নদী, পুষ্পম্ ইত্যাদি।
কর্তৃবাচ্যে কর্তৃকারকে প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- নদী প্রবহতি (নদী প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রাহ্মণঃ
পূজয়তি (ব্রাহ্মণ পূজা করছেন)।
10
অব্যয় শব্দের যোগে প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- বিশ্বামিত্রঃ ইতি মহর্ষিঃ আসীৎ (বিশ্বামিত্র নামে
একজন মহর্ষি ছিলেন। “বিষবৃক্ষোঽপি সংবর্ষ স্বয়ং হেতুমসাম্প্রতম্" (বিষবৃক্ষও বর্ষন করে নিজে
ছেদন করা উচিত নয়)।
81
কর্মবাচ্যে কর্মকারকে প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- শিশুনা চন্দ্ৰঃ দৃশ্যতে (শিশু কর্তৃক চন্দ্ৰ দৃষ্ট হয়)।
ছাত্রেণ পুস্তকং পঠাতে (ছাত্র কৃর্তক পুস্তক পঠিত হয়)।
(খ) দ্বিতীয়া বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ
১। কর্তৃবাচ্যে কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- সজলং পিবতি (সে জল পান করছে। অহং তং
জানামি (আমি তাকে জানি)।
ক্রিয়াবিশেষণে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- বালকঃ ধীরং গচ্ছতি (বালকটি ধীরে ধীরে যাচ্ছে)।
বালিকা মধুরং গায়তি (বালিকাটি মধুর ঘরে গাইছে)।
৩। ব্যাপ্তি অর্থে কালবাচক ও পথবাচক শব্দের সঙ্গে দ্বিতীয়া হয়। যেমন- কালবাচক শব্দের সঙ্গে সঃ
মাসং ব্যাকরণং পঠতি (সে একমাস যাবৎ ব্যাকরণ পড়ছে)। পথবাচক শব্দের সঙ্গে ক্রোশং গিরিঃ-
তিষ্ঠতি (পাহাড়টি একক্রোশ পর্যন্ত অবস্থান করছে।
81
অন্তরা (মধ্যে) ও অন্তরেণ (ব্যতীত) শব্দযোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- তাং মাং চ অন্তরা হরিঃ
তিষ্ঠতি (তোমার ও আমার মধ্যে হরি অবস্থান করছে।
শ্রম অন্তরেণ বিদ্যা ন ভবতি (শ্রম বিনা বিদ্যা হয় না)।
অভিতঃ (সম্মুখে), পরিতঃ (চারদিকে), উভয়তঃ (উভয়দিকে), নিকষা (নিকটে), সর্বতঃ
(সকল দিকে), ধিক্, বিনা, যাবৎ, প্রতি প্রভৃতি শব্দযোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন-
গ্রামম্ন অভিতঃ নদী (গ্রামের সম্মুখে নদী)।
গৃহং পরিতঃ উদ্যানানি (ঘরের চারদিকে বাগান)।
গ্রামস্ উভয়তঃ বনম্ (গ্রামের উভয় দিকে বন) ।
নগরং নিকষা নদী প্রবহতি (শহরের নিকট দিয়ে নদী প্রবাহিত হচ্ছে)।
উদ্যানং সর্বতঃ পুষ্পানি (বাগানের সর্বত্র পুষ্প)
দেশদ্রোহিণং ধিক (দেশদ্রোহীকে ধিক্)।
দুঃখ বিনা সুখং ন ভবতি (দুঃখ বিনা সুখ হয় না)।
নদী যাবৎ পন্থাঃ (নদী পর্যন্ত পথ)।
দীনং প্রতি দয়াং কুরু (দরিদ্রের প্রতি দয়া কর)।
(গ) তৃতীয়া বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ
করণকারকে প্রধানত তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- বরং লেখন্যা লিখামঃ (আমরা কলম দিয়ে লিখি)।
অহং হস্তেন গৃহামি (আমি হাত দিয়ে গ্রহণ করছি)।
সহ, সার্থ্য, সময়, প্রভৃতি সহার্থক শব্দযোগে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- পিতা পুত্রোণ সহ গচ্ছতি
(পিতা পুত্রের সঙ্গে যাচ্ছেন)। কেনাপি (কেন + অপি) সার্বং কলহং ন কুর্যাৎ (কারো সঙ্গে বিবাদ করা
উচিত নয়)। গুরুঃ শিষ্যেণ সহ গচ্ছতি (গুরু শিষ্যের সঙ্গে যাচ্ছেন)।
ঊন, হীন, শূন্য, রহিত, অলম্ ও প্রয়োজনার্থক শব্দযোগে তৃতীয়া বিভক্তি হয় । যেমন—
একেন উনঃ (এক কম)। ধর্মেণ হীনঃ (ধর্মহীন)। ধনেন শূন্যঃ (ধনশূন্য)। বিবেকেন রহিতঃ
(বিবেকহীন)। বিবাদেন অলম্ ( বিবাদের প্রয়োজন নেই)। মম ধনেন প্রয়োজনম্ অস্তি (আমার ধনের
প্রয়োজন আছে।
81
যে-অঙ্গের বিকারকশত অঙ্গীর পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, সেই অঙ্গে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন-
চক্ষুষা কাণঃ (সে কানা)। পাদেন খঞ্জঃ বালকঃ (বালকটির পা খোঁড়া)।
৫।
যে-লক্ষণ অর্থাৎ চিহ্ন দ্বারা কোনও ব্যক্তি সূচিত হয়, সেই লক্ষণবোধক শব্দের সঙ্গে তৃতীয়া বিভক্তি
হয়। যেমন- পুস্তকেন ছাত্রং জানামি (পুস্তকের দ্বারা ছাত্রকে বুঝতে পারি)। জটাভিঃ তাপসম
জানামি (জটাসমূহের দ্বারা তপসীকে বুঝতে পারি)।
৬।
হেতু অর্থে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- ময়ূরঃ হর্ষেণ নৃত্যতি (ময়ূর আনন্দে নাচছে)। বৃদ্ধা শোকে
রোদিভি (বৃদ্ধা শোকে কাঁদছেন)।
(ঘ) চতুর্থী বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ
সম্প্রদান কারকে প্রধানত চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- তৃষ্ণার্তায় জলং দেহি (তৃষ্ণার্তকে জল দাও)।
বাহীনায় বরং দেহি (বসত্রহীনকে বস দাও)।
তাদর্ঘ্যে অর্থাৎ নিমিত্তার্থে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- দানায় ধনম্ (দানের জন্য ধন)। অশ্বায় ঘাস
(গোড়ার জন্য ঘাস)।
হিত, সুখ ও নমস্ শব্দযোগে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- ব্রাহ্মণায় হিতম্ (ব্রাহ্মণের হিত)। সুখং শিষ্যায়
(শিষ্যের সুখ)। রামকৃষ্ণায় নমঃ (রামকৃষ্ণকে নমস্কার)।
(ঙ) পঞ্চমী বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ
اد
অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- আরোহী অশ্বাৎ পদ্ধতি (আরোহী ঘোড়া থেকে পড়ে
যাচ্ছে)। মেঘাৎ বৃষ্টিঃ ভবতি (মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়)।
দুয়ের মধ্যে একের উৎকর্ষ বোঝাতে নিকৃষ্টের উত্তর পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- খনাৎ বিদ্যা গরীয়সী
(ধন থেকে বিদ্যা বড়)। পিতৃঃ গরীয়সী মাতা (পিতা থেকে মাতা বড়)।
হেতু অর্থে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- শীতাৎ কম্পতে বৃদ্ধঃ (বৃদ্ধ শীতে কাঁপছেন)। শোকাৎ ক্রন্দতি
মাতা (মা শোকে কাঁদছেন)।
হেতু অর্থে তৃতীয়া বিভক্তিও হয়। যেমন- শীতেন কম্পতে বৃদ্ধঃ (বৃদ্ধ শীতে কাঁপছেন)।
81
'বহিস্' ও 'প্রভৃতি' শব্দ যোগে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- স গ্রামাৎ বহিঃ গচ্ছতি (সে গ্রামের বাইরে
যাচ্ছে)। শৈশবাৎ প্রভৃতি স কৃষ্ণভক্তঃ (শৈশব থেকে সে কৃষ্ণভক্ত)।
(চ) ষষ্ঠী বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ
اد
সম্বন্ধ পদে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যেমন- মম জননী দয়াবতী (আমার জননী দয়াশীলা)। নৃপস্য পুত্রঃ মূর্খঃ
(রাজার পুত্র মূর্খ)।
তৃপ্ ধাতুর যোগে বিকল্পে করণে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যেমন- ন অগ্নিঃ ভূপাতি কাঠানাম্ /কাষ্ঠে (অগ্নি
কাষ্ঠসমূহের দ্বারা তৃপ্ত হয় না)।
অনাদর বোঝালে যাকে অনাদর করা হয়, তাতে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যেমন- রুদতঃ শিশোঃ মাতা অগচ্ছত
(মাতা ক্রন্দনরত শিশুকে ফেলে চলে গেলেন)।
81
জাতি, গুণ, ক্রিয়া বা সংজ্ঞা দ্বারা সমুদয় থেকে একের পৃথকীকরণকে বলা হয় নির্ধারণ। নির্ধারণে ষষ্ঠী
বিভক্তি হয় । যেমন- কবীনাং কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ (কবিদের মধ্যে কালিদাস শ্রেষ্ঠ)। বীরাণাং কর্ণঃ শ্রেষ্ঠঃ
(বীরদের মধ্যে কর্ণ শ্রেষ্ঠ)।
(ছ) সপ্তমী বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ
اد
অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- গগনে উদেতি ডানুঃ (সূর্য আকাশে উদিত হচ্ছে)। বসন্তে
পিকঃ কৃজতি (বসন্তে কোকিল ডাকে)। স কাব্যে নিপুণঃ (তিনি কাব্যে নিপুণ)।
অনাদরে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- রুদতি পুত্রে পিতা অপচ্ছৎ (পিতা রোদনরত শিশুকে ফেলে চলে
গেলেন)।
নির্ধারণে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- ধীরেষু ভীষ্মঃ শ্রেষ্ঠন (ধীরদের মধ্যে ভীষ্ম শ্রেষ্ঠ)। ছাত্রেষু বিপুলঃ
উত্তমঃ (ছাত্রদের মধ্যে বিপুল উত্তম)
81
যার ক্রিয়ার কাল দ্বারা অন্য কোন কাজের কাল স্থির করা হয়, তার সঙ্গে সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত হয়।
একে ভাবে সপ্তমী বলে। যেমন-
সূর্যে উদিতে পদ্মং প্রকাশতে (সূর্য উদিত হলে পদ্ম প্রকাশিত হয়)।
চন্দ্রে উদিতে কুমুদিনী বিকশতি (চন্দ্র উদিত হলে কুমুদ বিকশিত হয়)।
৫।
নিপুণ, উৎসুক, সাধু প্রভৃতি শব্দযোগে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন—
বিজয়ঃ সঙ্গীতে নিপুণঃ (বিজয় সঙ্গীতে পারদর্শী)।
কমলঃ ব্যাকরণে সাধুঃ (কমল ব্যাকরণে পারদর্শী)।
প্রশ্নমালা
সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :
(ক) যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্ম/অপাদান অধিকরণ/করণ কারক বলে।
(খ) যে বস্তু দান করা হয়, তাকে সম্প্রদান/কর্ম/অপাদান অধিকরণ কারক বলে।
(ঘ) 'অন্তরেণ' শব্দযোগে হয় ৪র্থী / ৫মী/৬৪/২য়া বিভক্তি ।
(ছ) তৃপ্ ধাতুর যোগে বিকল্পে করণে হয় ৫মী / ১ মা/ ৭মী/৬ষ্ঠী বিভক্তি।
(গ) যাকে দান করা হয়, তাকে বলা হয় সম্প্রদান/অপাদান অধিকরণ/করণ কারক।
(ঙ) 'ঋতে' শব্দযোগে হয় ৪র্থী/ ৫মী/৬৪/৭মী বিভক্তি।
(চ) 'নিপুণ' শব্দযোগে হয় ২য় / ৪র্থী / ৭মী/ ৫মী বিভক্তি।
বাক্য রচনা কর :
ইতি, চ, ধিক্, পরিতঃ, নিকষা, প্রতি, উভয়তঃ ।
01
উদাহরণ দাও:
অব্যয়যোগে ১মা, নির্ধারণে ৬ষ্ঠী, ভাবে ৭মী, অনাদরে ৬ষ্ঠী, কালাধিকরণে ৭মী, ব্যান্ডার্থে হয়া,
তাদর্ঘ্যে ৪র্থী, অপেক্ষার্থে ৫মী।
81
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
'অলম্' শব্দযোগে কোন্ বিভক্তি হয়?
(খ) 'ক্রিয়ানুষি কারকম্' বলতে কি বোঝ?
(গ) 'যাবৎ' শব্দযোগে কোন্ বিভক্তি হয়?
(খ) সম্প্রদান কারকে কোন্ বিভক্তি হয়?
(ঙ) নমস্ (নমঃ) শব্দযোগে কোন বিভক্তি হয়?
(চ) অপেক্ষার্থে কোন্ বিভক্তি হয়।
বাংলায় অনুবাদ কর :
(ক) অহং তং জানামি। (খ) শ্রম অন্তরেণ বিদ্যা ন ভবতি। (গ) বয়ং লেখন্যা লিখামঃ। (ঘ) পুস্তকে ছাড়াং
জানামি।) (ঙ) পিতৃঃ গরীয়সী মাতা। (চ) জ্ঞানাৎ ঋতে সুখং নাস্তি ।
৬। সংস্কৃতে অনুবাদ কর :
(ক) বৃদ্ধ শীতে কাঁপছেন। (খ) বীরদের মধ্যে ভীষ্ম শ্রেষ্ঠ। (গ) আকাশে চাঁদ উঠছে। (ঘ) বিজয় সঙ্গীতে
নিপুণ। (ঙ) শৈশব থেকে সে কৃষ্ণভক্ত। (চ) সে গ্রামের বাইরে যাচ্ছে। (ছ) তৃষ্ণার্তকে জল দাও।
রেখাঙ্ক্ষিত পদসমূহের কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :
(ক) সঃ মাসং ব্যাকরণং পঠতি। (খ) পিতা পুত্রেণ সহ গচ্ছতি। (গ) পাদেন খঞ্জঃ বালকঃ । (ঘ) জটাভিঃ তাপসং
জানামি (ঙ) মেঘাৎ বৃষ্টিঃ ভরতি। (চ) শীতাৎ কম্পতে বৃদ্ধা। (ছ) ন অগ্নিঃ ভূপাতি কাঠানাম্ । (জ) কবিষ্ণু
কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ ।
১৮। উদাহরণসহ পঞ্চমী বিভক্তি প্রয়োগের তিনটি ক্ষেত্র উল্লেখ কর।
সাধারণত কোন্ কোন্ সম্বলে চতুর্থী বিভক্তি হয়। প্রতিস্থল একটি করে উদারহণ দাও ।
১০। দ্বিতীয়া বিভক্তি প্রয়োগের তিনটি ক্ষেত্র উল্লেখ কর এবং প্রতিক্ষেত্রে উদাহরণ দাও।
১১। অধিকরণ কারক কাকে বলে? উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর।
১২। অপাদান কারক কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও ।
১৩। কারক কয় প্রকার ও কি কি? প্রত্যেক প্রকারের একটি করে উদাহরণ দাও ।
১৪। কারক কাকে বলে? উদাহরণ দ্বারা বুঝিয়ে দাও।
१
কর্তায় শূন্য
কর্মে ৭মী
কর্মে ২য়া
কর্মে শূন্য
বিদ্যায়াঃ আলয় = বিদ্যালয়ঃ
মহান জন্য = মহা
উপরের প্রথম উদাহরণে বিদ্যায়াঃ" একটি পদ এবং 'আলয়ঃ' আরেকটি ভিন্ন পদ। এ দুটো পদ মিলিত হয়ে
"বিদ্যালয়ঃ' পদটি গঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় উদাহরণে 'মহান' একটি পদ এবং 'জনঃ' আরেকটি পৃথক পদ। এ
দুটো পদের মিলনে গঠিত হয়েছে 'মহাজনঃ' পদ।
এরূপভাবে পরস্পর সম্বন্ধবিশিষ্ট দুই বা বহুপদের একপদে মিলনকে সমাস বলে।
সমাস শব্দের অর্থ একত্রীকরণ বা সংক্ষেপ।
সমাসের প্রয়োজনীয়তা: শব্দগঠন, বাক্যের শ্রুতিমধুরতা সাধন ও বাক্যকে সংক্ষিপ্তকরণ
সমাসের প্রধান প্রয়োজন।
এই তিনটি
সন্ধি ও সমাসের পার্থক্য : সন্ধিতে বর্ণে বর্ণে মিলন হয়, আর সমাসে মিলন হয় দুই বা বহুপদের।
ব্যাসবাক্য 'ব্যাস' শব্দটির অর্থ বিভক্ত হয়ে অবস্থান। সুতরাং যে-বাক্যের সাহায্যে সমাসের অন্তর্গত
পদগুলোকে বিভাগ অর্থাৎ পৃথক করা হয়, তার নাম ব্যাসবাক্য। ব্যাসবাক্যের অন্য নাম সমাসবাক্য ও
বিগ্রহবাক্য। যেমন- নদী মাতা যস্য সঃ নদীমাতৃকঃ।
সমস্যমান পদ : যে সকল পদের মিলনে সমাস গঠিত হয়, তাদের প্রত্যেককে সমস্যমান পদ বলা হয়।
যেমন- নবম অনুম্ = নবান্নম। এখানে 'নবম্' ও 'অনুম' দুটো সমস্যমান পদ ।
সমস্তপদ : সমাসবদ্ধ পদকে বলা হয় সমস্তপদ জায়া চ পতিশ্চ = দম্পতী, এখানে 'দম্পতী' একটি
সমস্তপদ।
সমাসের শ্রেণীভেদ : সমাস প্রধানত চার প্রকার- অব্যয়ীভাব, তৎপুরুষ, দ্বন্দ্ব ও বহুব্রীহি। কর্মধারয় ও বিপু
সমাস তৎপুরুষ সমাসেরই অন্তর্গত। কারো কারো মতে সমাস ছয় প্রকার দ্বন্দু, দ্বিগু, অব্যয়ীভাব, তৎপুরুষ,
কর্মধারয় ও বহুব্রীহি। আমরাও সমাস ছয় প্রকার বলছি।
১। অব্যয়ীভাব সমাস
অব্যয় শব্দ পূর্বে থেকে যে সমাস হয় এবং অব্যয়ের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস
বলা হয়।
অব্যয়ীভাব সমাসে শেষের পদটি থাকে বিশেষ্য এবং অব্যয় ও ক্লীবলিঙ্গ হয়।
সামীপ্য, সাদৃশ্য, অভাব, পশ্চাৎ, যোগ্যতা, বীপ্সা, অনতিক্রম প্রভৃতি অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হয়।
সামীপ্য :
কূলস্য সমীপম
= উপকূলম্
গৃহসা সমীপ
= উপগৃহম
=
সাদৃশ্য :
দ্বীপস্য সদৃশম
= উপদ্বীপ
হরেঃ সদৃশম্
=
সহরি
অভাব :
ভিক্ষায়াঃ অভাবঃ
= দুর্ভিক্ষম্
মক্ষিকাণাম্ অভাবঃ
: নির্মক্ষিক
=
পশ্চাৎ:
পদস্য পশ্চাৎ
= অনুপদমূ
রথস্য পশ্চাৎ
= অনুরথম
যোগ্যতা:
রূপস্য যোগাম্
= অনুরূপ
দিন দিন
= প্রতিদনম্
গৃহং গৃহম
= প্রতিগৃহম্
অনতিক্রম:
বিধি অনতিক্রম্য
= যথাবিধি
শক্তিম অনতিক্রম্যা
= যথাশক্তি
২। তৎপুরুষ সমাস
যে-সমাসের পূর্বপদের দ্বিতীয়াদি (দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী বিভক্তি লোপ পায় এবং
পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
বিভক্তির লোপ অনুসারে তৎপুরুষ সমাস ছয় প্রকার- দ্বিতীয়া তৎপুরুষ, তৃতীয়া তৎপুরুষ, চতুর্থী তৎপুরুষ,
পঞ্চমী তৎপুরুষ, ষষ্ঠী তৎপুরুষ ও সপ্তমী তৎপুরুষ।
দ্বিতীয়া তৎপুরুষ : পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি লোপ পায়। যেমন—
গৃহং গতঃ =
গৃহগতঃ
শরণম্ আপনঃ = শরণাপন্নঃ
তৃতীয়া তৎপুরুষ :
পূর্বপদের তৃতীয়া বিভক্তি লোপ পায়। যেমন—
কীটেন নষ্টঃ = কীটদষ্টঃ
পদেন দলিতঃ = পদদলিতঃ
চতুর্থী তৎপুরুষ :
পূর্বপদের চতুর্থী বিভক্তি লোপ পায়। যেমন-
দেবায় দত্তঃ = দেবদত্তঃ
পুত্রায় হিতম্ = পুত্রহিতম
পূর্বপদের পঞ্চমী বিভক্তি লোপ পায়। যেমন—
পঞ্চমী তৎপুরুষ :
বৃক্ষাৎ পতিতঃ = বৃক্ষপতিতঃ
শাপাৎ মুক্তঃ = শাপমুক্তঃ
ষষ্ঠী তৎপুরুষ :
পূর্বপদের ষষ্ঠী বিভক্তি লোপ পায়। যেমন---
রাজঃ পুত্রঃ = রাজপুত্রঃ
কাল্যাঃ দাসঃ = কালিদাসঃ
সপ্তমী তৎপুরুষ :
পূর্বপদের সপ্তমী বিভক্তি লোপ পায়। যেমন—
রণে নিপুণঃ = রণনিপুণঃ
তর্কে পণ্ডিতঃ = তর্কপণ্ডিতঃ
৩। কর্মধারয় সমাস
যে সমাসে সাধারণত পূর্বপদ বিশেষণ, পরপদ বিশেষ্য ও সমস্ত পদটি বিশেষ্য হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস
বলা হয়।
কর্মধারয় সমাস যেহেতু তৎপুরুষ সমাসের শ্রেণীভেদ, সেহেতু তৎপুরুষ সমাসের মত এই সমাসের পরপদের
অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়।
ব্যাসবাক্যসহ কয়েকটি কর্মধারয় সমাস :
নীলম উৎপল
রক্তং কমলম
= নীলোৎপলম্
= রক্তকমল
নবম্ অনুম্
মহান বীরঃ
= নবান্নম্
= মহাবীরঃ
মহান রাজা
= মহারাজঃ
প্রিয়ঃ সখা
= প্রিয়সখঃ
নব গ্ৰহাণ
= নবগ্রহাঃ
সুন্দরং গৃহম্
= সুন্দরগৃহম্
যে-সমাসে পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ থাকে এবং সমাহার অর্থ প্রকাশ করে, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিপু
সমাসবদ্ধ পদ সাধারণত ক্লীবলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ হয়। যেমন—
ক্লীবলিঙ্গ
ত্রয়াণাং ভুবনানাং সমাহারঃ
= ত্রিভুবনম্
চতুর্ণাং যুগানাং সমাহারঃ
= চতুর্যুগ
পঞ্চানাং গৰাং সমাহারঃ
= পঞ্চগম্
ি
ত্রয়াণাং লোকানাং সমাহারঃ
= ত্রিলোকী
পঞ্চানাং বটানাং সমাহারঃ
= পঞ্চবটী
সন্তানাং শতানাং সমাহারঃ
= সপ্তশতী
৫। সমাস
যে-সমাসে সমস্যমান পদের প্রত্যেকটির অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয় এবং ব্যাসবাক্যে প্রত্যেক সমস্যমান
পদের পরে 'চ'
এই অব্যয় যুক্ত হয়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন-
রামশ্চ লক্ষ্মণশ্চ
ভীমশ্চ অর্জুনশ্চ
= রামলক্ষ্মণৌ
= ভীমার্জুনৌ
কর্ণশ্চ অর্জুনশ্চ
=
কর্ণার্জুনৌ
দেবাশ্চ অসুরাশ্চ
= দেবাসুরাঃ
মাতা চ পিতা চ
= মাতাপিতরৌ
জায়া চ পশ্চি
= দম্পতী
ইন্দুশ্চ বরুণ
= ইন্দ্রাবরুণী
=
মিশ্চ বরুণশ্চ
= মিত্ৰাবৰূপৌ
কৃষ্ণণ্ড অৰ্জ্জুনশ্চ
= কৃষ্ণার্জুনৌ
৬। বহুব্রীহি সমাস
যে-সমাসে সমস্যমান পদের কোনটির অর্থ প্রধানরূপে না বুঝিয়ে অন্য পদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়,
তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। এই সমাসের ব্যাসবাক্যে পুংলিঙ্গে 'যস্য' ও স্ত্রীলিঙ্গে 'যস্যাঃ' পদ ব্যবহৃত হয়।
যেমন-
নদী মাতা যস্য সঃ
= নদীমাতৃকঃ
=
পীতম্ অম্বরং যস্য সং
= পীতাম্বরঃ
শোভনং হৃদয়ং যস্য
= সুহৃৎ
মহান্তৌ বাহু যস্য সঃ
= মহাবাহুঃ
মহান্তৌ ভুজৌ যস্য সঃ
= মহাভুজঃ
মহতী মতিঃ যস্য সঃ
= মহামতিঃ
যুবতিঃ জায়া যস্য স
= যুবজানিঃ
সীতা জায়া যস্য সঃ
= সীতাজানিঃ
বীণা পাদৌ যস্যাঃ সা
= বীণাপাণিঃ
মৃতঃ ধবঃ যস্যাঃ সা
= বিধবা
প্রশ্নমালা
শুদ্ধ উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :
(ক) গৃহস্য সমীপম্ = প্রতিগৃহ/উপগৃহম/পরিগৃহম/সগৃহম্।
(খ) ত্রয়াণাং লোকানাং সমাহারঃ = ত্রিলোকী/ত্রিলোকম/ত্রিলোকি /ত্রিলোকঃ ।
(গ) তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের মধ্যপদের উভয়পদের পরপদের অর্থের প্রাধান্য থাকে।
(খ) সমাহার অর্থ প্রকাশ করে দ্বিগু/দ্বন্দ্ব/তৎপুরুষ/অব্যবীয়ভাব সামস।
একপদে প্রকাশ কর :
(ক) বিধিম্ অনতিক্রম্য। (খ) রণে নিপুণঃ। (গ) সন্তানাং শতানাং সমাহারঃ। (ঘ) নদী মাতা
যস্য সঃ। (৬) ত্রয়াণাং লোকানাং সমাহারঃ। (চ) ভিক্ষায়া অভাবঃ ।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(ক) সমাস শব্দের অর্থ কি?
(খ) সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্য কি?
(গ) সমাসের প্রয়োজনীয়তা কি?
(ঘ) অব্যয়ীভাব সমাসবদ্ধ পদ কোন লিঙ্গ হয়?
(ঙ) বহুব্রীহি সমাসে কোন পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে?
81
বাংলায় অনুবাদ কর
(ক) তে বিদ্যালয়ং গচ্ছস্তি। (খ) অর্জুনঃ রণনিপুণ আসীৎ। (গ) বাংলাদেশো নদীমাতৃকঃ। (ঘ) সা
নীলোৎপলং চিনোতি। (ঙ) কালিদাসঃ মহাকবিঃ ।
সংস্কৃতে অনুবাদ কর :
বৃক্ষ থেকে পতিত হয়েছে। (খ) য্যাতি শাপ থেকে মুক্ত হয়েছেন। (গ) সে আমার
প্রিয় বন্ধু। (ঘ) বালিকারা লালপদ্ম চয়ন করছে। (ঙ) এটি পঞ্চবটী।
সমাস ও ব্যাসবাক্য লেখ :
দম্পতী, উপকূলম, কালিদাসঃ, নবান্নম,
পঞ্চবটী।
१
বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে? এই সমাসের ব্যাসবাক্যে সাধারণত কি থাকে? উদাহরণ দাও।
তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে? বিভক্তির লোপ অনুসারে তৎপুরুষ সমাস কল্প প্রকার ও কি কি? প্রত্যেক
প্রকারের উদাহরণ দাও ।
অব্যয়ীভাব সমাস কাকে বলে? কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে অব্যয়ীভাব সমাস হয়। প্রতিক্ষেত্রে উদাহরণ দাও।
ব্যাসবাক্য, সমস্তপদ ও সমস্যমান পদের পার্থক্য বুঝিয়ে লেখ ।
১০ ।
১১।
সমাস কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।
সন্ধি: অত্যন্ত কাছাকাছি অবস্থিত দুটি বর্ণের পরস্পর মিলনকে সন্ধি বলা হয়। যেমন- মহা+ঈশঃ =
মহশেঃ। এখানে 'মহা' পদের অন্তস্থিত 'আ' এবং 'ঈশঃ' পদের পূর্বস্থিত 'ই' মিলিত হয়ে 'এ' হয়েছে।
সন্ধির অপর নাম সংহিতা।
সন্ধির শ্রেণীবিভাগ : সন্ধি দুই প্রকার- স্বরসন্ধি বা অসন্ধি এবং ব্যঞ্জনসন্ধি বা হসন্ধি। বিসর্গসন্ধি
ব্যঞ্জনসন্ধিরই অন্তর্গত।
ময়সন্ধি বা অসন্ধি: ফরবর্ণের সঙ্গে সরবর্ণের মিলনকে স্বরসন্ধি বা অসন্ধি বলা হয়। যেমন- দেব +
আলয় = দেবালয়ঃ। এখানে 'দেব' পদের অন্তস্থিত অ এং 'আলয়ঃ' পদের প্রথমে অবস্থিত আ মিলিত হয়ে
আ হয়েছে।
ব্যঞ্জনসন্ধি বা হসন্ধি: ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জনবর্ণের অথবা সরবর্ণের মিলনকে ব্যঞ্জনসন্ধি বা হসি
বলে। যেমন- চলৎ + চিত্র = চলচ্চিত্র। এখানে চলৎ পদের অন্তস্থিত ব্যঞ্জনবর্ণ (ত্)-এর পর
ব্যঞ্জনবর্ণ চ থাকায় ও স্থানে চূ হয়েছে এবং উভয়ের মিলনে হয়েছে চ্চ। বাক্ + ঈশঃ বাগীশঃ। এখানে
=
'বাক্' শব্দের অন্তস্থিত ব্যঞ্জনবর্ণ 'ক্'-এর পর স্বরবর্ণ 'ঈ' থাকায় ক্ স্থানে গু হয়েছে।
বিসর্গসন্ধি: বিসর্গের সঙ্গে জ্বর অথবা ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনকে বিসর্গসন্ধি বলে। যেমন- পুনঃ + আপতঃ =
পুনরাগতঃ। এখানে 'পুনঃ পদের অন্তস্থিত (বিসর্গ)-এর পরে স্বরবর্ণ 'অ' থাকায় বিসর্গস্থানে র হয়েছে।
কঃ + চিৎ = কশ্চিৎ। এখানে 'কঃ' পদের অন্তস্থিত বিসর্গের পরে 'চ'- এই ব্যঞ্জনবর্ণ থাকায় বিসর্গস্থানে
"শ" হয়েছে।
সন্ধির প্রয়োজনীয়তা : সন্ধির দ্বারা শব্দগঠন, বাক্যসংক্ষেপণ ও শ্রুতিমধুরতা সম্পাদিত হয়।
সন্ধির অপরিহার্যতা একপদে ধাতু বা ধাতুঘটিত শব্দের পূর্বে উপসর্গের যোগে, সমাসে এবং সূত্রে সি
অবশ্যকরণীয়।
স্বরসন্ধির নিয়ম
অ-কার কিংবা আ-কারের পর অ-আর কিংবা আ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে আ-কার হয়,
আ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় :
অ+অ= আ
নীল + অশ্বরম্ =
নীলাম্বরম্
হিম + আলয়ঃ = হিমালয়ঃ
অ + আ = আ
মহা + অ = মহ
আ + অ = আ
আ + আ = আ
মহা + আশয়ঃ + মহাশয়ঃ
২। হ্রম ই-কার কিংবা দীর্ঘ ই-কারের পর হ্রম ই-কার কিংবা দীর্ঘ ই-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে দীর্ঘ
ঈ-কার হয়, দীর্ঘ ঈ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-
ই + ই =
কবি + ইন্দ্ৰঃ = কবীন্দ্রঃ
এই + ঈ = ঈ
গিরি + ঈশঃ = গিরীশঃ
ঈ + ই = ঈ
মহী + ইন্দ্ৰঃ = মহীন্দ্ৰঃ
ঈ + ঈ = ঈ
লক্ষ্মী = ঈশঃ = লক্ষ্মীশঃ
01
জয় উ-কার কিংবা দীর্ঘ উ-কারের পর হ্রয় উ-কার কিংবা দীর্ঘ ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলে দীর্ঘ
উ-কার হয়, ঊ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-
বিধু + উদয়ঃ বিধৄদয়ঃ
লঘু + ঊর্মি = = লঘূর্মিঃ
উ+ উ = উ
বধূ + উৎসবঃ = বধূৎসবঃ
উ+ উ =উ
ভূ + ঊর্ধ্ব =
উ + উ =উ
81
অ-কার কিংবা আ-কারের পর তুষ ই-কার কিংবা দীর্ঘ ঈ-কার থাকলে উভয়ের মিলনে এ-কার হয়।
এ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-
অ + ই = এ
আ + ই = এ
অ + ঈ = এ
আ + ঈ = এ
অ + উ = ও
দেব ইন্দ্ৰঃ দেবেন্দ্রঃ
মহা = ইন্দ্ৰঃ = মহেন্দ্ৰ
গণ ঈশঃ গণেশঃ
মহা + ঈশ্বরঃ= মহেশ্বরঃ
অ-কার কিংবা আ-কারের পর হ্রয় উ-কার কিংবা দীর্ঘ ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে ও-কার হয়,
ও-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-
চন্দ্র + উদয়ঃ = চন্দ্রোদয়ঃ
আ + উ = ও
গঙ্গা + উদকম্ = গঙ্গোদকম্
অ + উ = ও
গৃহ + ঊর্ধ্বম্ = গৃহোধধম্
আ + উ = ও
গঙ্গা + ঊর্মিঃ = গঙ্গোর্মিঃ।
অ-কার কিংবা আ-কারের পর ঋ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে অর্থ হয়। অর্-এর 'অ' পূর্ববর্ণে যুক্ত
হয় এবং বৃ রেফ (') রূপে পরবর্ণের মস্তকে যায়। যেমন-
অ + খ = অব্
সপ্ত + ঋষিঃ = সপ্তর্ষিঃ
অ + ঋ = অর্
আ + = অ
দেব + ঋষিঃ = দেবর্ষিঃ
মহা + ঋষিঃ মহর্ষিঃ
=
আ + ব = অর্
রাজা + ঋষিঃ = রাজর্ষিঃ
91
অ-কার কিংবা আ-কারের পর এ-কার কিংবা ঐ-কার থাকলে উভয়ের মিলনে ঐ-কার হয়, ঐ কার
পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন—
অ + এ = ঐ
+4=2
এক + এক = একৈকম
সদা + এর = সদৈব
অ + ঐ= ঐ
মত + ঐক্যম্ = মতৈকা
আ + =
মহা + ঐশ্বৰ্যম্ = মহৈশ্বৰ্যম
অ-কার কিংবা আ-কারের পর ও-কার কিংবা ঔ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে ঔ-কার হয়,
-কার
পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-
জল + ত =
আ + ও = ঔ
মহা ঔষধিঃ = মহৌষধিঃ
2=2+2
গত + ঔৎসুক্যম্ = গভৌৎসুক্যম্
আ = ঔ = ঔ
মহা + ঔদার্যম্ = মহৌদার্থ
৯। হ্রষ ই-কার কিংবা দীর্ঘ ঈ-কারের পর যদি হ্রম-ইকার কিংবা দীর্ঘ ঈ-কার ভিন্ন অন্য স্বরবর্ণ থাকে, তবে
হ্রয় ই-কার বা দীর্ঘ ঈ-কার স্থানে 'যূ' হয়। উক্ত য্ য-ফলা (1)-রূপে পূর্ববর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং
পরবর্তী স্বরবর্ণ খৃ-কারে যুক্ত হয়। যেমন-
ই+অ= ই-স্থানে হ্
ই+উ = ই-স্থানে
যদি + অপি = যদ্যপি
অভি + উদয়ঃ = অভ্যুদয়ঃ
ই + উ = ই-স্থানে স্
প্রতি + ঊষঃ= প্রত্যূষঃ
ই + এ = ই-স্থানে ঘৃ
প্রতি + এক = প্রত্যেকম্
ঈ + আ = ঈস্থানে ঘৃ
ঈ + এ = ঈস্থানে ঘূ
দেবী + আগতা দেব্যাগতা
বাপী + এষা বাপ্যেষা
প্রশ্নমালা
১। সঠিক উত্তরটিতে টিক (/) চিহ্ন দাও :
(ক) বিধু + উদয়ঃ = = বিষ্ণুদয়ঃ/বিহৃদয়ঃ/বিষ্ণুদয়ঃ/বিদ্ধিদয়ঃ ।
(খ) অ-কার এবং ও-কার মিলে হয় এ-কার/ঐ-কার / ঔ-কার/ও-কার।
(গ) নিস্তারঃ = নিঃ+ তারঃ/নি +তারঃ/নী + তারঃ/নির +তারঃ।
(ঘ) মনোহরঃ=মন + হরঃ / মনোহরঃ / মনঃ + হরঃ/মনে + হরঃ।
(ঙ) উষ্মবর্ণ পরে থাকলে পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে হয় বিসর্গ/চন্দ্রবিন্দু/অনুষার/ন।
২। শূন্যস্থান পূরণ কর :
(ক) + জীবেৎ = যাবজ্জীবেৎ। (খ) উৎ + হতঃ । (গ) অনু + অন্বেষণম্। (ঘ) - +
ঈশঃ = বাগীশঃ। (ঙ) 1 + ছায়া বৃক্ষচ্ছায়া। (চ) পূর্ণঃ + চন্দ্ৰঃ ==
=
৩। সম্মিবিচ্ছেদ কর :
মহাশয়ঃ, দেবেন্দ্রঃ, মহেশ্বরঃ, রাজর্ষি, স্বাগতম, গায়ক, উচ্চারণম্, উদ্ধার, ভদ্ভুতা, বহিষ্কৃতঃ,
নমস্কারঃ অতএব ।
৪। স্যি কর :
এক + একম্, প্রতি + ঊষঃ, ভৌ + উঃ, উৎ + লেখঃ, পরি + ছেদঃ, নিঃ + তারঃ, নিঃ + রবঃ,
মনঃ + হরর, মুনেঃ + ছাত্রাঃ।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(ক) স্বরসন্ধির অন্য নাম কি?
(খ) ব্যঞ্জনসন্ধির অন্য নাম কি?
(গ) সন্ধির প্রয়োজনীয়তা কি?
(ঘ) কোন কোন ক্ষেত্রে সন্ধি অপরিহার্য?
(ঙ) অ-কারের পর আ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে কি হয়?
(চ) অ-কারের পর ও-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে কি হয়
(ছ) ত্-এর পর চ্ থাকলে ভূ-স্থানে কি হয়?
যথাসম্ভব সন্ধি ব্যবহার করে সংস্কৃত অনুবাদ কর :
(ক) দেবী এলেন। (খ) আচার্যের আদেশ। (গ) প্রভাতে সূর্যের উদয়। (ঘ) তিনি আমার মাথার মণি ।
(ঙ) পূর্ণ চন্দ্র। (চ) ঘোড়া দৌড়ায়। (ছ) দুর্জন থেকে ভয়।
বাংলায় অনুবাদ কর :
(ক) স আগতঃ। (খ) শিশুইসতি। (গ) প্রাতভ্রমণং কুরু। (ঘ) কমলমিব নয়নম্ (ও) পিত্রাদেশং পালয়।
(চ) রামঃ সীতায়াঃ অন্বেষণ, চকার।
৮।
বিসর্গসন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।
স্বরসস্থি ও ব্যঞ্জনসঘির পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।
১০। সন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।
"বাচ্য' শব্দের অর্থ বক্তব্য বিষয়। মানুষের বক্তব্য বিষয় প্রকাশের কয়েকটি প্রসিদ্ধ ভঙ্গি বা রীতি-নীতি আছে।
এই রীতি-নীতি বা ভঙ্গিই বাচ্য।
সংস্কৃতে বাচ্য চার প্রকার কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য, ভাববাচ্য ও কর্মকর্তৃবাচ্য।
১। কর্তৃবাচ্য
বাক্যের যে রীতিতে কর্তার কথাই প্রধানভাবে বলা হয়, তাকে কর্তৃবাচ্য বলে।
এই বাচ্যে কর্তৃকারকে প্রথমা বিভক্তি ও কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয় এবং ক্রিয়া কর্তার অধীন হয়, অর্থাৎ
কর্তায় যে পুরুষ ও যে বচন হয়, ক্রিয়ায়ও সেই পুরুষ ও সেই বচন হয়। যেমন—
অহং রামায়ণং পঠামি (আমি রামায়ণ পড়ি)
ত্বং রামায়ণং পঠসি (তুমি রামায়ণ পড়
বালকঃ চন্দ্ৰং পশ্যতি (বালকটি চাঁদ দেখছে)
বালকৌ অনুং খাদতঃ (দুজন বালক ভাত খাচ্ছে)
বালকাঃ অনুং খাদন্তি (বালকেরা ভাত খাচ্ছে)।
২। কর্মবাচ্য
বাক্যের যে রীতিতে কর্মের প্রাধান্য থাকে, তাকে কর্মবাচ্য বলে।
কর্মবাচ্যে কর্তায় তৃতীয়া ও কর্মে প্রথমা বিভক্তি হয় এবং কর্ম অনুসারে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়,
অর্থাৎ কর্ম যে
পুরুষ ও যে বচনের হয়, ক্রিয়াও সেই পুরুষ ও সেই বচনের হয়। সকল ধাতুই আত্মনেপর্দী হয় এবং লট, লোই,
লঞ্চ ও বিধিলি-এর চারটি ল কারে ধাতুর উত্তর 'খৃ' হয়। যেমন-
তেন অহং দৃশ্যে (তার দ্বারা আমি দৃষ্ট হচ্ছি)।
তেন তুং দৃশ্যসে (তার দ্বারা তুমি দৃষ্ট হচ্ছো)।
ময়া স দৃশ্যতে (সে আমার দ্বারা দৃষ্ট হচ্ছে)।
তেন পুস্তকং পঠাতে (তার দ্বারা পুস্তক পঠিত হচ্ছে)।
তেন পুস্তকৌ পঠোতে (তার দ্বারা দুটি পুস্তক পঠিত হচ্ছে)।
তেন পুস্তকানি পঠান্তে (তার দ্বারা পুস্তকগুলি পঠিত হচ্ছে)।
৩। ভাববাচ্য
যে বাচ্যে ক্রিয়ার প্রাধান্য থাকে, তাকে ভাববাচ্য বলে।
ভাববাচ্যে কর্তৃকারকে তৃতীয়া বিভক্তি হয়, কর্ম থাকে না এবং ক্রিয়াপদ প্রথমপুরুষের একবচনান্ত হয়।
কর্মবাচ্যের মত লট, লোট, লঙ্ ও বিধিলি এই চারটি ল-কারে ধাতুর উত্তর 'য' হয় এবং ধাতু আত্মনেপদী
হয়।
কেবল অকর্মক ধাতুর ক্ষেত্রেই ভাববাচ্য হয়। যেমন-
তেন নৃত্যতে (তার নাচা হচ্ছে)।
ময়া ধীয়তে (আমার থাকা হচ্ছে)।
শিশুনা শয্যতে (শিশুর শোয়া হচ্ছে)।
বালকৈঃ হস্যতে (বালকদের হাসা হচ্ছে)।
৪। কর্মকর্তৃবাচ্য
যে-বাচ্যে কর্তার নিজগুণেই যেন আপনা থেকে কাজ হচ্ছে এরূপ বোঝায়, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে। “ভিদ্যুতে
বৃক্ষঃ'—বৃক্ষটি ভেঙে যাচ্ছে বললে বোঝায় বৃক্ষটি আপনা-আপনিই ভেঙে যাচ্ছে। এরূপ- পচাতে ওদনঃ (ভাত
রান্না হচ্ছে)। ছিদাতে কাম (কাপড় ছিঁড়ছে)।
বাচ্য পরিবর্তন
অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে এক বাচ্যের বাক্যকে অন্য বাচ্যে পরিবর্তন করার নাম বাচ্য পরিবর্তন। বাচ্য
পরিবর্তনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখা প্রয়োজন :
কর্তৃবাচ্যের বাক্যে যদি কর্ম থাকে, তাহলেই তাকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তন করা যায়, নতুবা কর্তৃবাচ্যকে
ভাববাচ্যে পরিণত করা চলে।
কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের বাক্যকে কর্তৃবাচ্যে পরিণত করা যায়।
ক্রিয়া সকমর্ক হলেও যদি কর্ম না থাকে, তবে সেই বাক্যকে ভাববাচ্যে পরিণত করা চলে।
প্রশ্নমালা
শুদ্ধ উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :
(ক) কর্তৃবাচ্যে কর্তৃকারকে ১মা / ৪র্থী/৩য়া/ ৬ষ্ঠী বিভক্তি হয়।
(খ) ভাববাচ্যে প্রাধান্য থাকে কর্তার/কর্মের অব্যয়ের ক্রিয়ার।
(গ) কর্মবাচ্যে কর্তায় ২য়া/ওয়া/১ মা/৪র্থী বিভক্তি হয়।
(ঘ) 'পচাতে ওদনঃ' কর্তৃবাচ্যের/কর্মবাচ্যের/ভাববাচ্যের কর্মকর্তৃবাচ্যের উদাহরণ।
(ঙ) ভাববাচ্যে কর্তায় ১মা / ৪র্থী/৬ষ্ঠী/ওয়া বিভক্তি হয়।
(চ) 'তেন অনুং খাদ্যতে কর্মবাচ্যের কর্তৃবাচ্যের কর্মকর্তৃবাচ্যের ভাববাচ্যের উদাহরণ।
২। নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(ক) কর্মবাচ্যে কর্তায় কোন বিভক্তি হয়?
(খ) ভাববাচ্যে লট প্রভৃতি চারটি ল-কারে ধাতুর উত্তর কিসের আগম হয়?
(গ) কর্মবাচ্যে ধাতু কোন পণী হয়।
(ঘ) বাচ্য পরিবর্তন কাকে বলে?
(৩) "ওয়া বেদঃ পঠ্যতে'- এটি কোন বাচ্যের উদাহরণ?
৩। বাচ্যান্তর করা
(ক) সা বেলং পঠতি। (খ) তে বনে তিষ্ঠন্তি। (গ) ময়া চন্দ্রঃ মুশাতে। (ঘ) শিশুঃ হসতি। (ঙ) তেন
অহং দৃশ্যে।
৪। বাংলায় অনুবাদ কর :
(ক) অহং পুরাণং পঠামি। (খ) তেন পুস্তকানি পঠান্তে। (গ) বালকৈঃ হসাতে। (ঘ) ছিদ্যতে বাম।
(৫) তেন অনুং খাদ্যতে। (চ) ভিদ্যতে বৃক্ষঃ।
। সংস্কৃতে অনুবাদ কর :
(ক) আমার থাকা হচ্ছে। (খ) ভাত রান্না হচ্ছে। (গ) বালকটি চাঁদ দেখছে। (ঘ) তুমি রামায়ণ পড়।
(ঙ) তার দ্বারা পুস্তক গঠিত হচ্ছে। (চ) তার দ্বারা তুমি দৃষ্ট হচ্ছে।
৬। কর্তৃবাচ্যকে ভাববাচ্যে পরিণত করার নিয়মগুলো লেখ।
৭। কর্তৃবাচ্যকে কর্মবাচ্যে পরিণত করার নিয়মগুলো লেখ।
৮। ৰাচ্য পরিবর্তনের সময় কোন বিষয়গুলো মনে রাখা প্রয়োজন?
৯। কর্মকর্তৃবাচ্য কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।
১০। ভাববাচ্যের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?
১১। কর্তৃবাচ্য ও কর্মবাচ্যের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কিছু
১২। প্রত্যেক বাচ্যের দুটি করে উদারহণ দাও।
১৩। বাচ্য কাকে বলে? বাচ্য কত প্রকার ও কি কি?
"লিঙ্গ" শব্দের অর্থ চিহ্ন। যার দ্বারা পুরুষ বা স্ত্রী বুঝায় কিংবা স্ত্রী বা পুরুষ কিছুই নয় এরূপ বোঝায়, তাকে
লিঙ্গ বলা হয়।
সংস্কৃতে লিঙ্গ তিন প্রকার -- (১) পুংলিতা (২) স্ত্রীলিঙ্গ ও (৩) ক্লীবলিঙ্গ) ।
বাংলা বা ইংরেজি ব্যাকরণে পুরুষবাচক শব্দগুলো পুংলিঙ্গ, ত্রীবাচক শব্দগুলো স্ত্রীলিঙ্গ এবং যেসব শব্দে
সূত্রী বা পুরুষ কিছুই বোঝায় না, সেগুলো ক্লীবলিঙ্গ। সংস্কৃতে কিন্তু এভাবে লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায় না।
সংস্কৃত ব্যাকরণে সত্রীবাচক শব্দও পুংলিঙ্গ, পুরুষবাচক শব্দও ক্লীবলিঙ্গ এবং বস্তুবাচক শব্দও পুংলিঙ্গ হয়।
যেমন— 'দার' শব্দ সত্রীবাচক হলেও পুংলিঙ্গ, 'মিত্র' শব্দ পুরুষবাচক হলেও ক্লীবলিঙ্গ এবং 'বৃক্ষ' শব্দ
বস্তুবাচক হলেও পুংলিঙ্গ।
সংস্কৃতে লিঙ্গ নির্ণয়ের জন্য অনেক নিয়ম আছে। এখানে সাধারণ দু-একটি নিয়ম দেখান হল :
পুংলিঙ্গ
দেব, অসুর, স্বর্গ, গিরি, সমুদ্র ইত্যাদি অর্থ প্রকাশক সকল শব্দ পুংলিঙ্গ। যেমন-
(ক) দেববাচক দেবঃ সুরঃ, অমরঃ ইত্যাদি।
অসুরবাচক অসুরঃ, দৈত্য, দানবঃ ইত্যাদি।
(ঘ) গিরিবাচক- গিরিঃ, পর্বতঃ, শৈলঃ ইত্যাদি।
(গ) স্বৰ্গবাচক- স্বর্গঃ, ত্রিদিবঃ, সুরলোকঃ ইত্যাদি।
দেবগণের নামও পুংলিঙ্গবাচক শব্দ। যেমন— ইন্দ্ৰঃ বিষ্ণুঃ শিবঃ, গণেশ, কার্তিকেয়ঃ ইত্যাদি।
(ঙ) সমুদ্রবাচক- সমুদ্রঃ, সাগরঃ, অর্ণবঃ ইত্যাদি।
আ-কারান্ত, ঈ-কারান্ত ও উ-কারান্ত শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ। যেমন- লতা, নদী, বধূ ইত্যাদি।
ঋ-কারান্ত মাতৃ (মা), দুহিতৃ (কন্যা), মসৃ (ভগ্নী), নলান্দ (ননদ) প্রভৃতি শব্দ ত্রীলিঙ্গ। যেমন- মাতা
দুহিতা, অসা, ননান্দা ।
ক্লীবলিঙ্গ
মুখ, নয়ন, বন, কুসুম, ধন ও অনুবাচক শব্দগুলো ক্লীবলিঙ্গ। যেমন-
(ক) মুখবাচক- মুখম্, বদনম্, আননম্ ইত্যাদি।
(খ) নয়নবাচক নয়নম্, নেত্রম্, লোচনম্ ইত্যাদি।
(গ) বনবাচক নম্, অরণ্যম্, বিপিনম্ ইত্যাদি।
(ঘ) কুসুমবাচক- কুসুম, পুষ্পম্ ইত্যাদি।
অনুবাচক অনুম্, খাদ্যম, ভোজ্যম্ ইত্যাদি।
(চ) ধনবাচক- ধনম্, বিত্ত, প্রবিণম্ ইত্যাদি।
অনুশীলনী
লিঙ্গ কাকে বলে? সংস্কৃতে লিঙ্গ কত প্রকার ও কি কি?
বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণের সঙ্গে সংস্কৃত ব্যাকরণের লিঙ্গের পার্থক্য কি?
উদাহরণসহ পুংলিঙ্গ নির্দেশক প্রথম নিয়মটি উল্লেখ কর।
81
গ্রীলিঙ্গ নির্দেশক দুটি নিয়ম উদাহরণসহ উল্লেখ কর।
লিঙ্গ পরিবর্তন কর:
কৃষ্ণা, অশ্বঃ, মৃগী, দীনঃ, পিতামহঃ।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
৬।
(ক) 'দার' শব্দ কোন্ লি ?
(খ) 'লিঙ্গ' শব্দের অর্থ কি?
মুখবাচক শব্দ কোন লিঙ্গ?
গিরিবাচক শব্দ কোন্ ি
আ-কারান্ত শব্দ কোন ি
१
শুদ্ধ উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :
সংস্কৃতে লিঙ্গ তিন/দুই/চার/পাঁচ প্রকার।
বনবাচক শব্দ পুংলিঙ্গ/স্ত্রীলিঙ্গ / ক্লীবলিঙ্গ উভয়লিঙ্গ।
ফর্গবাচক শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ/ক্লীবলিঙ্গ পুংলিঙ্গ উভয়লিঙ্গ।
(ঘ) ঈ-কারান্ত শব্দ পুংলিঙ্গ উভয়লিঙ্গ / ক্লীবলিঙ্গ/ত্রীলিঙ্গ।
(ঙ) 'নদ' শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ নদী/নপি / নদ/ নদো ।
(ক) ণত্ব-বিধান
যে-সকল বিধান বা নিয়ম অনুযায়ী দন্ত্য ন মূর্ধন্য গৃ-তে পরিণত হয়, তাদের ণত্ব-বিধান বলা হয়।
প্রধানত নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে দন্ত্য নৃ মূর্ধন্য ণ-তে পরিণত হয়
এক পদস্থিত খ, ক্ষু, র, ও মূর্ধন্য ঘৃ-এই চারবর্ণের পরবর্তী দত্তা নৃ মূর্ধন্য ণ হয়।
যা - তৃণমূ, নৃণাম্, ক্ষণম্, ভিসৃণাম্ ইত্যাদি।
খৃ – মাতৃণাম, পিতৃণাম্, ভ্রাতৃণাম্, নেতৃণাম্ ইত্যাদি।
কর্ণঃ, বর্ণঃ, চতুর্ণাম, বিদীর্ণ, ইত্যাদি।
ম - কৃষ্ণঃ, বিষ্ণু, তৃষ্ণা, সহিষ্ণু ইত্যাদি।
+
যদি স্বরবর্ণ, ক-বর্গ, প-বর্গ, য, ব, হ, বা অনুষার)-এর ব্যবধান থাকে তাহলেও ক, খৃ.
[-এর পরস্থিত একপদস্থ দন্ত্য ন মূর্ধন্য ণ হয়। যেমন-
স্বরবর্ণের ব্যবধান- করণ (বৃ + অ + গ)।
ক-বর্গের ব্যবধান- তর্কে ( + ক + এ+ ন)।
প-বর্গের ব্যবধান- দর্পেণ (ব+প্+এ+ণ)।
য-এর ব্যবধান- সূর্যেণ (র+এ+)।
বৃ-এর ব্যবধান-
ই-এর ব্যবধান-
গর্বেশ (র + ব্ + এ + গ)
গ্রহণে + অ ++)।
(অনুসার)-এর ব্যবধান- হাম্ +অ+)
10
পরা, পূর্ব ও অপর শব্দের পরস্থিত 'অভ্র' শব্দের দন্ত্য ন মূর্ছনা " হয়। যেমন প্রত্নঃ, পরার, পূর্বাহ্ণ,
অপরাহঃ।
81
প্র, পরা পরি ও নির্—এই চারটি উপসর্গের পরবর্তী নম্, নশ, নী প্রভৃতি ধাতুর দন্ত্য ন মূর্ধন্য ণ হয়।
যেমন-
নম্-প্রণমতি, পরিণমতি, প্রণামঃ, পরিণামঃ।
ন-প্রপশ্যতি, প্রণাশঃ, পরপিশ্যতি।
নী-প্রণয়তি, প্রণয়ঃ পরিণতি, পরিণয়ঃ।
দ্রষ্টব্য : = = = হ+
(খ) ষত্ব-বিধান
যে-সকল বিধান বা নিয়ম অনুযায়ী দন্ত্য স মূর্ধন্য -তে পরিবর্তিত হয় তাদের যত্ন-বিধান বলা হয়। ঘ-তুর
চারটি প্রধান বিধান বা নিয়ম নিম্নে প্রদত্ত হল:
অ, আ ভিন্ন ঘরবর্ণ এবং ক্ ও র-এদের যে কোন বর্ণের পরস্থিত প্রত্যয়ের দন্ত্য স মূর্ধন্য ষ্ হয়।
যেমন-
অ, আ ভিন্ন স্বরবর্ণের পর মুনিষু, সাধুধু, নদীষু।
ক্-এর পরে -দিক্ষু (ক্ষ = ক + ষ )
ব-এর পরে
-
চতুর্ষু, গীর্ষ, সর্বেষু।
(অনুসার) এবং ঃ (বিসর্গ)-এর ব্যবধান থাকলেও প্রত্যয়ের দন্ত্য সৃ মূর্ধন্য ঘৃ হয়। যেমন- হবীংখি,
ধনুংশি, আয়ুংষু।
201
ই-কারান্ত ও উকারান্ত উপসর্গের পর সিছ, সম্পা, সদৃ, সি প্রভৃতি ধাতুর দন্ত্য স মূর্ধন্য ঘৃ হয়। যেমন-
ই-কারান্ত উপসর্গের পর- অভিষেকঃ প্রতিষ্ঠানম্, নিষাদঃ, প্রতিষেধঃ।
দ্রষ্টব্য : অভিষেকঃ = অভি-সিচ্ + যজ্ঞ। প্রতিষ্ঠানম্ = প্রতিস্থা + অনট্। নিষাদঃ = নি-সদৃ + ঘঞ।
প্রতিষেধঃ= প্রতি-সিধ ঘ
উ-কারান্ত উপসর্গের পর-অনুষ্ঠানম্, অনুষেদ্ধতি।
দ্রষ্টব্য: অনুষ্ঠানম্ অনুস্থা অট। অনুষেধতি = অনু- সি + ল ভি।
81
ট-বর্গের পূর্ববর্তী দন্ত্য স মূর্ধন্য ষ হয়। যেমন-কষ্ট, স্পষ্টঃ, ওষ্ঠ, দুষ্টঃ।
প্রশ্নমালা
সঠিক উত্তরটির পাশে ঠিক (/) চিহ্ন দাও :
(ক) তর্কেন/তর্কেণ/তার্কেন/তার্কেল
(খ) অপরাহঃ/অপরাহ্নঃ আপরাহঃ/আপরাহ্নঃ।
(গ) অনুস্টানম্/অনুষ্ঠাম/অনুষ্ঠানম/আনুষ্ঠানম্ ।
(ঘ) পরিণ্যশ্যতি / পরিণশ্যতি/পরিনয্যতি/পরিনস্যতি ।
২। শুদ্ধ কর :
করনম্, হরিনা, পূর্বাহ্নঃ, মধ্যাহঃ, নরেশ, নদীসু, অনুস্টানম্ ।
৩। নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
(ক) এক পদস্থিত ম্-এর পরে কোন ন হয়?
(খ) 'তৃণমূ' পদে কেন মূর্ধনা গৃ হয়েছে?
(গ) 'পূর্বাহ্ণ' পদে কেন মূর্ধন্য ণূ হয়েছে?
(ঘ) 'প্রণয়ঃ' পদে কেন মূর্ধন্য ণ হয়েছে?
(ঙ) ই-কারান্ত উপসর্গের পর 'সিচ্' ধাতুর দন্ত্য স্ কোন্ স হয় ?
(চ) 'কষ্টম' পদে মূর্ধন্য-ষ হয়েছে কেন?
৪। স্বত্ব-বিধানের তৃতীয় ও চতুর্থ সূত্রটি উদাহণসহ ব্যাখ্যা কর ।
৫। যত্ন-বিধান কাকে বলে। উদাহরণসহ যত্ন-বিধানের প্রথম সূত্র দুটি লেখ।
৬। উদাহারণসহ ণত্ব-বিধানের তৃতীয় ও চতুর্থ সূত্রটি লেখ।
৭। গত বিধান কাকে বলে? উদাহরণসহ ণত্ব-বিধানের প্রথম দুটি সূত্র লেখ।
আরও দেখুন...